নানজিং-এর চীনামাটির প্যাগোডা।


চীনের নানজিং-এর ইয়াংঝি নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত ছিলো 'দ্য পোর্সিলিন টাওয়ার অব নানজিং'। এটি ছিলো বৌদ্ধদের মহিমান্বিত প্যাগোডা। এ প্যাগোডাটিকে চীনের মানুষের কৃতজ্ঞতার মন্দিরও বলা হতো। নানজিং-এর চীনামাটির প্যাগোডাটি পনের শতাব্দীতে মিং রাজবংশের সময় নির্মাণ করা হয়। প্যাগোডাটি ছিলো ৩০ মিটার (৯৭ ফুট) ব্যাসার্ধের অষ্টভুজের ওপর নির্মিত ৯ তলাবিশিষ্ট ৭৯ মিটার (২৬০ ফুট) উঁচু পিরামিড আকৃতির একটি স্থাপনা। এ ভবনটির ছাদের ওপর ছিলো একটি সোনালি আনারস আকৃতির স্থাপনা। এ প্যাগোডাটি যখন নির্মিত হয়েছিলো, তখন এটি ছিলো চীনের বৃহত্তম একটি ভবন। প্যাগোডাটি নির্মাণ করা হয়েছিলো উজ্জ্বল সাদা চীনামাটির ইট দিয়। দিনের বেলায় সূর্যের আলোয় ভবনটি ঝলমল করতো এবং রাতে ১৪০টি ঝুলন্ত বাতি এটিকে অনেক আকর্ষণীয় করে তুলতো। পশ্চিমা বিশ্বে এ প্যাগোডাটি সম্পর্কে মানুষ সর্বপ্রথম জানতে পারে যখন ইউরোপীয় পর্যটক জোহান নিউজোফ এ প্যাগোডাটি পরিদর্শন করেন। ১৮০১ সালে বজ্রাঘাতে এর উপরের ৩টি তলা ভেঙে যায়। ১৮৫৩ সালে তাইপিং বিদ্রোহের সময় পরো স্থাপনাটি ধংস হয়ে যায়। ২০১০ সালে চীনের এক ব্যাবসায় ওয়াং জিয়ানলিন এ প্যাগোডাটি পুননির্মাণ করতে ১৫৬ মিলিয়ন দান করেন। চীনের ইতিহাসে কোনো স্থাপনা নির্মাণের জন্য ব্যাক্তিগত দানের ক্ষেত্রে এটিই সর্বোচ্চ।
নাইমুল ইসলাম

পোস্টটি লিখেছেন
আমি জয়। আমি এই ব্লগের এডমিন। ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের স্থাপত্য বিভাগের একজন ছাত্র। আমি খুলনা থেকে ঢাকায় পড়তে এসেছি। আমি ব্লগ লিখি এবং আমি একজন ইউটিউবার। এর পাশাপাশি আমি গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ করি। ঘুরে বেড়ানো এবং সিনেমা দেখা আমি খুব পছন্দ করি।
Follow her @ Twitter | Facebook | YouTube

No comments

পোস্টটি কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন । আপনাদের কোন সমস্যাও কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যতটুকু সম্ভব সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো ।

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.