তাজমহলের ইতিহাস।
মানব প্রেমের অমর কীর্তি 'তাজমহল'। এটি ভারতের উত্তর প্রদেশের আগ্রায় অবস্থিত। মোগল সম্রাট শাহ জাহান তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী আরজুমান্দ বানু বেগম (মুমতাজ মহল নামে পরিচিত)-এর স্মৃতিকে আম্লান করে রাখতেই এটি নির্মাণ করেন। মমতাজ-এর মৃত্যুর পর ১৬৩৬ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু করেন সম্রাট শাহ জাহান। ২০ হাজার দক্ষ কারিগর ২২ বছরে এটি নির্মাণ করেন। তাজমহলের নির্মাণ কাজের সময় ১,০০০-এরও বেশি হাতি ব্যবহার করা হয়েছিলো। এর সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৬৪৮ সালে। তাজমহল নির্মাণে তৎকালীন আনুমানিক ৩,২০,০০,০০০ রুপি খরচ হয়েছিলো। তাজমহলের প্রধান স্তপতি ছিলেন ইরানের ভিখ্যাত স্থ্যপতি ওস্তাদ আহমেদ আহৌরি। তাজমহলকে মুঘল স্থ্যপতিশৈলীর একটি আকর্ষণীয় নিদর্শন হিসেবে মনে করা হয়, যার নির্মাণশৈলীতে পারস্য, তুরস্ক, ভারতীয় এবং ইসলামি স্থপত্যশিল্পের সম্মিলন ঘটানো হয়েছে। তাজমহলটি মোট পাঁচটি স্তরে গঠিত। প্রধান ফটক, বাগান, মসজিদ, রেস্ট হাউস এবং তাজমহল স্মৃতিসৌধ। তাজমহলের চারদিকে ৪০ ফুট উঁচু চারটি মিনার আছে এবং মাঝখানে একটি বড় গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজটির উচ্চতা ৮০ ফুট এবং ব্যাসার্ধ ৬০ ফুট। তাজমহল যে জমিতে নির্মাণ করা হয়েছিলো সেই জমির মালিক ছিলেন মহারাজা জয় সিং। সম্রাট শাহ জাহান মহারাজা জয় সিংকে আগ্রার মাঝখানে একটি বিশাল প্রাসাদ দেওয়ার বদলে জমিটি দেন। তাজমহলের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো সকালে এটি হালকা গোলাপি রং, বিকেলে দুধের মত শ্বেতশুভ্র রূপ এবং জ্যোৎস্না রাতে সোনালি রং ধারন করে। ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো তাজমহলকে 'বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান' ঘোষণা করে।
পোস্টটি লিখেছেন
আমি জয়। আমি এই ব্লগের এডমিন। ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের স্থাপত্য বিভাগের একজন ছাত্র। আমি খুলনা থেকে ঢাকায় পড়তে এসেছি। আমি ব্লগ লিখি এবং আমি একজন ইউটিউবার। এর পাশাপাশি আমি গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ করি। ঘুরে বেড়ানো এবং সিনেমা দেখা আমি খুব পছন্দ করি।
Follow her @ Twitter | Facebook | YouTube
No comments
পোস্টটি কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন । আপনাদের কোন সমস্যাও কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যতটুকু সম্ভব সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো ।