আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘর।


মিশরের নাইল নদের মোহনায় আলেকজান্দ্রিয়া শহরের উপকূলে আশ্চর্য এ বাতিঘরটি নির্মিত হয়েছিলো। এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিলো আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ২৯৯ অব্দে। এটি নির্মাণে সময় লাগে প্রায় ২০ বছর। এর মূল ভিত্তিভূমির আয়তন ছিলো ১১০ বর্গ ফুট এবং উচ্চতা ছিলো ১২৪ মিটার। নাবিকদের সুবিধার জন্য বাতিঘরটির ওপরে আগুন জ্বালানো থাকতো। তৈরির সময় আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘরের চূড়ায় যে বিশাল অগ্নিকুণ্ড জ্বালিয়ে দেখা হয়েছিলো, ধ্বংস হওয়ার পূর্বে সেটি আর কেউ নিভে যেতে দেখেনি। সেখানে পৌঁছানর জন্য ছিলো পেঁচানো বড় একটি সিঁড়ি। বাতিঘরটি তৈরি করা হয়েছিলো তিনটি স্তরে। প্রথম স্তরটি ছিলো বর্গাকৃতির, এর ওপরের স্তরটি অষ্টভুজাকৃতির এবং সবচেয়ে ওপরের অংশটি ছিলো সিলিন্ডার আকৃতির। খ্রিষ্টপূর্ব ৯৫৬ অব্দে ঝড় ও ভূমিকম্পে বাতিঘরটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। ১৩৭৫ সালের ভূমিকম্পে সাগরের বুকে আঁচড়ে পড়ার আগ পর্যন্ত এটিই ছিলো পৃথিবীর বৃহত্তম বাতিঘর।
নাইমুল ইসলাম

পোস্টটি লিখেছেন
আমি জয়। আমি এই ব্লগের এডমিন। ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের স্থাপত্য বিভাগের একজন ছাত্র। আমি খুলনা থেকে ঢাকায় পড়তে এসেছি। আমি ব্লগ লিখি এবং আমি একজন ইউটিউবার। এর পাশাপাশি আমি গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ করি। ঘুরে বেড়ানো এবং সিনেমা দেখা আমি খুব পছন্দ করি।
Follow her @ Twitter | Facebook | YouTube

No comments

পোস্টটি কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন । আপনাদের কোন সমস্যাও কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যতটুকু সম্ভব সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো ।

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.