হ্যালিকারনাসাসের সমাধি ইতিহাস।


খ্রিষ্টপূর্ব ৩৭৭ থেকে ৩৫৩ আব্দ পর্যন্ত সময়ে পারস্যের অধিপতি ছিলেন মসোলাস। তুরস্কের হ্যালিকারনাসাস ছিলো তার রাজধানী। মসোলাসের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী রানী আর্টিমিয়া খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫৩ থেকে ৩৫০ অব্দে ১০৫ মিটার প্রস্থ ও ২৪২ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সৈাধটি তৈরি করেন। এর উচ্চতা ছিলো ৪৫ মিটার। বিশিষ্ট এই সৈাধটি তৈরি করেছিলো মর্মর পাথর দিয়ে। এটি তিনটি স্তরে বিভক্ত ছিলো। প্রথম স্তরে ছিলো আয়তাকার বিশাল এক প্রস্থর ভিত্তি। দ্বিতীয় স্তরে ছিলো ৩৬টি স্তম্ভ, যার প্রতিটির উচ্চতা ছিলো ৫৬ ফুট। তৃতীয় স্তরটি ছিলো সোজা ঊর্ধ্বাকাশে উঠে যাওয়া বিশালাকৃতির পিরামিড আকারের গম্বুজ। মার্বেল পাথরের তৈরি এ গম্বুজটির উচ্চতা ছিলো ৫০ ফুট। ১৫২২ সালের এক ভূমিকম্পে সৈাধটি ভেঙ্গে পড়ে যায়। বর্তমানে মসোলাসের ১০ ফুট দীর্ঘ মূর্তিসহ ভেঙ্গে পড়া স্থাপনাটি ব্রিটিশ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। অভিধানের মাস্যালিয়াম বা সৈাধ শব্দটি রাজা মসোলাসের নাম থেকে এসেছে।
নাইমুল ইসলাম

পোস্টটি লিখেছেন
আমি জয়। আমি এই ব্লগের এডমিন। ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের স্থাপত্য বিভাগের একজন ছাত্র। আমি খুলনা থেকে ঢাকায় পড়তে এসেছি। আমি ব্লগ লিখি এবং আমি একজন ইউটিউবার। এর পাশাপাশি আমি গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ করি। ঘুরে বেড়ানো এবং সিনেমা দেখা আমি খুব পছন্দ করি।
Follow her @ Twitter | Facebook | YouTube

No comments

পোস্টটি কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন । আপনাদের কোন সমস্যাও কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যতটুকু সম্ভব সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো ।

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.