এশিয়া মহাদেশের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ও জলবায়ু।
বরফাচ্ছাদিত উত্তরমেরু থেকে বিষুবরেখা পর্যন্ত বিস্তৃত এশিয়া পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশ। উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং ওশেনিয়া মহাদেশের একত্রে যে আয়তন হবে এশিয়ার একক আয়তনই তাই। এ মহাদেশটি ভূপৃষ্ঠের ৮.৭ শতাংশ ( স্থলভাগের ৩০ শতাংশ ) জায়গা দখল করে আছে। আকৃতির বিশালতার কারণে এশিয়াতে একই সাথে দেখা যায় বৃহত্তম মরুভূমি, উষ্ণতম ও শীতলতম জলবায়ু, উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ এবং দীর্ঘতম নদী। পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থান এভারেস্ট পর্বত এবং সর্বনিম্ন স্থান মৃতসাগর এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত। পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশি মানুষ বাস করে এই এশিয়া মহাদেশে। চীনে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যা, যদিও এশিয়া তথা পৃথিবীর বৃহত্তম দেশ রাশিয়া ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তৃত। বেরিং সাগর উত্তর আমেরিকা থেকে এবং কাম্পিয়ান সাগর, তুরস্ক এবং উরাল পর্বতমালা ইউরোপ থেকে এশিয়াকে পৃথক করেছে। এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অনেক ছোট ছোট দ্বীপপুঞ্জ রয়েছে।
ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য
দক্ষিণ-পশ্চিম এবং মধ্য এশিয়ার বেশির ভাগ অংশই গোবি এবং সিরিয়ান মতো অনুর্বর ভূমি দ্বারা আবৃত। হিমালয় পর্বতমালা শীতল উত্তরাঞ্চলকে ভারতীয় উপমহাদেশের উষ্ণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃষ্টিপ্রধান ক্রান্তীয় অঞ্চলে বনাঞ্চল থেকে পৃথক করেছে। এশিয়ার বিখ্যাত নদীগুলোর মধ্যে হোয়াং হো, মেকং, সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। নদীগুলোর তীর ঘেষে রয়েছে সমতল ভূমি ও উপত্যকা।
জলবায়ু
এশিয়ার ভূ-প্রকৃতি বড়ই বৈচিত্র্যময়। তাছাড়া বায়ুপ্রবাহের পথে বাধার সৃষ্টি হওয়ায় এর বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন ধরনের জলবায়ু অনুভুত হয়। জলবায়ু অনুসারে এশিয়া মহাদেশকে সাতটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো- ১. নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চল, ২. মৌসুমি জলবায়ু, ৩. মরু জলবায়ু অঞ্চল, ৪. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চল, ৫. মহাদেশীয় জলবায়ু অঞ্চল, ৬. শীতল নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু অঞ্চল এবং ৭, তুন্দ্রা জলবায়ু অঞ্চল।
পোস্টটি লিখেছেন
আমি জয়। আমি এই ব্লগের এডমিন। ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের স্থাপত্য বিভাগের একজন ছাত্র। আমি খুলনা থেকে ঢাকায় পড়তে এসেছি। আমি ব্লগ লিখি এবং আমি একজন ইউটিউবার। এর পাশাপাশি আমি গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ করি। ঘুরে বেড়ানো এবং সিনেমা দেখা আমি খুব পছন্দ করি।
Follow her @ Twitter | Facebook | YouTube
নাইস
ReplyDelete