শাক-সবজির উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ।


শাক-সবজি বলতে সাধারণত ভোজ্য উদ্ভিদ অথবা উদ্ভিদের অংশ এবং এর ফল ও বীজকেই বোঝায়। মূলত উদ্ভিদের পাতা, কাণ্ড ও মূলই হলো সবজি। তবে উদ্ভিদ নয় এমন জিনিসও মানুষ সবজি হিসেবে খেয়ে থাকে, যেমন- মাশরুম। কিছু সবজি কাঁচা ও কিছু সবজি রান্না করে খাওয়া হয়। শাক-সবজিতে যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০ গ্রাম শাক-সবজি খাওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। পৃথিবীর সর্বত্রই শাক-সবজির চাষ হয়ে থাকে। তবে চীন শাক-সবজি উৎপাদনে পৃথিবীর শীর্ষস্থানে রয়েছে। চীনে সর্বোচ্চ উৎপাদিত সবজিগুলো হলো- আলু, পেঁয়াজ, বাঁধাকপি, লেটুস, টমেটো এবং ব্রকলি। বাংলাদেশে প্রায় শতাধিক জাতের শাক-সবজি উৎপন্ন হয়। সারা বছর শাক-সবজি উৎপন্ন হলেও শীতকালে উৎপন্ন হয় সবচেয়ে বেশি। এ ঋতুতে পাওয়া যায় মজাদার সব সবজি।

সবজি না ফল? 
আমরা বেগুন, শিম, লাউ, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, শসা, কাঁচামাল, টমেটো এগুলো সবজি না ফল, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। যেমন- টমেটো সবজি না ফল এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে ১৮৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট টমেটোকে ফল হিসেবে উল্লেখ করে। উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা বলেন, ফুল থেকে যার জন্ম হয় সেটি হলো ফল। এ ফল আমরা কাঁচাও খেয়ে থাকি, আবার রান্না করেও খেয়ে থাকি। যেসব ফল আমরা রান্না করে খাই সেগুলোকে সবজি হিসেবে উল্লেখ করে থাকি।

সবজির পুষ্টিগুণঃ
 সবজিতে যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে। শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। বলা যায়, শাক-সবজি হলো ভিটামিনের প্রধান উৎস। শাক-সবজি যেমন দেহে ভিটামিনের ঘাটতি পূরন করে তেমনি নানা ধরনের রোগও প্রতিরোধ করে। শাক-সবজির অভাবেও আমাদের দেহে নানা রোগ দেখা দিতে পারে।

নাইমুল ইসলাম

পোস্টটি লিখেছেন
আমি জয়। আমি এই ব্লগের এডমিন। ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের স্থাপত্য বিভাগের একজন ছাত্র। আমি খুলনা থেকে ঢাকায় পড়তে এসেছি। আমি ব্লগ লিখি এবং আমি একজন ইউটিউবার। এর পাশাপাশি আমি গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ করি। ঘুরে বেড়ানো এবং সিনেমা দেখা আমি খুব পছন্দ করি।
Follow her @ Twitter | Facebook | YouTube

No comments

পোস্টটি কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন । আপনাদের কোন সমস্যাও কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যতটুকু সম্ভব সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো ।

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.