জীবাশ্মবিদ্যার ইতিহাস!


প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন প্রাণী আর উদ্ভিদের জীবাশ্ম খুঁজে পাওয়া গেলেও তখনকার সময়ে সেগুলোর কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব হতো না। কেননা, জীবাশ্ম সৃষ্টির ব্যাপারটি তখনও ছিল অজানা। ইতিহাস থেকে জানা যায়, প্রাচীন গ্রিক ও রোমানসহ ভূমধ্যসাগরীয় গড়ে ওঠা সভ্যতাগুলো প্রাচীনকাল থেকেই জীবাশ্ম সংগ্রহ ও পর্যবেক্ষণ করে আসছে। স্বভাবতই তারা তাদের পরিমিত জ্ঞান দিয়ে বিভিন্ন সময়ে এগুলোর ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে জীবাশ্মবিদ্যার ইতিহাস মাত্র ২০০ বছরের পুরোনো। ফরাসি জীববিজ্ঞানী জর্জ কুভিয়েরকে জীবাশ্মবিদ্যার জনক বলে ধরে নেয়া হয়। তবে ইতালির বিজ্ঞানী ও দার্শনিক লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চিই সর্বপ্রথম বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে জীবাশ্মবিদ্যার ব্যাখ্যা প্রদান করেন। পাহাড়ের গা কেটে রাস্তা তৈরি করার সময় তিনি আবিষ্কার করেছিলেন যে, পাহাড়ের স্তরীভূত শিলাগুলো বিভিন্ন সময়ের তলানি থেকে সৃষ্টি হয়ে বিভিন্ন স্তরের জন্ম দিয়েছে। তাই আজ আমরা পাহাড়ের গায়ে বিভিন্ন স্তর বা ভাঁজ দেখতে পাই। এই স্তরগুলোতে তিনি অনেক জীবাশ্ম খুঁজে পান। খুঁজে পাওয়া জীবাশ্মগুলো দেখে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, এগুলো প্রাচীন পৃথিবীর প্রাণের নিদর্শন ছাড়া আর কিছুই নয়। জীবাশ্মবিদ্যার ইতিহাসে আরও যে কয়জন অমর হয়ে আছেন, তাঁরা হলেন- জেমস হার্টন, কুভিয়ে, অ্যাফ্রেদ ওয়ালেস, চার্লস ডারউইন, প্রমুখ।
নাইমুল ইসলাম

পোস্টটি লিখেছেন
আমি জয়। আমি এই ব্লগের এডমিন। ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের স্থাপত্য বিভাগের একজন ছাত্র। আমি খুলনা থেকে ঢাকায় পড়তে এসেছি। আমি ব্লগ লিখি এবং আমি একজন ইউটিউবার। এর পাশাপাশি আমি গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ করি। ঘুরে বেড়ানো এবং সিনেমা দেখা আমি খুব পছন্দ করি।
Follow her @ Twitter | Facebook | YouTube

No comments

পোস্টটি কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন । আপনাদের কোন সমস্যাও কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যতটুকু সম্ভব সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো ।

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.