হিমশৈলের ইতিহাস !
হিমশৈল স্বাদু পানির বরফের বিশাল একটি খণ্ড, যেটি হিমবাহ ভেঙ্গে তৈরি হয় এবং পানিতে মুক্তভাবে ভাসতে থাকে। হিমশৈলের প্রায় ৯০ শতাংশই থাকে পানির নিচে। হিমশৈল সাধারণত সমুদ্র সমতলের ওপরে ১ থেকে ৭৫ মিটার (৩.৩-২৪৬.১ ফুট) পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে এবং আর ওজন হয় ১,০০,০০০ থেকে ২,০০,০০০ মেট্রিক টন। ১৯৫৮ সালে উত্তর আটলান্টিকে ভেসে বেড়ানো বৃহত্তম হিমশৈলটি ছিল সমুদ্র সমতল থেকে ১৬৮ মিটার (৫৫১ ফুট) উঁচু। এ হিমশৈলটি ৫৫ তলা ভবনের মতো উঁচু ছিল। তবে রেকর্ডধারী বৃহত্তম হিমশৈলটি ছিল ‘অ্যান্টার্কটিকা ট্যাবুলার আইসবার্গ’, যার আয়তন ছিল ৩১,০০০ বর্গ কিলোমিটার (৩৩৫*৯৭ কিলোমিটার)। ১৯৫৬ সালে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে স্কট দ্বীপের ২৪০ কিলোমিটার পশ্চিমে ভেসে বেড়ানো এ হিমশৈলটি আয়তনে বেলজিয়ামের চেয়েও বড় ছিল। পানিতে ভেসে বেড়ানো হিমশৈলের কারণে সমুদ্রে জাহাজ চলাচলে যথেষ্ট সমস্যা হয়। ১৯১২ সালে বিশাল জাহাজ ‘টাইটানিক’ একটি হিমশৈলের সাথে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। আর এতে ১,৫০০ যাত্রীর মৃত্যু হয়।
পোস্টটি লিখেছেন
আমি জয়। আমি এই ব্লগের এডমিন। ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের স্থাপত্য বিভাগের একজন ছাত্র। আমি খুলনা থেকে ঢাকায় পড়তে এসেছি। আমি ব্লগ লিখি এবং আমি একজন ইউটিউবার। এর পাশাপাশি আমি গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ করি। ঘুরে বেড়ানো এবং সিনেমা দেখা আমি খুব পছন্দ করি।
Follow her @ Twitter | Facebook | YouTube
No comments
পোস্টটি কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন । আপনাদের কোন সমস্যাও কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যতটুকু সম্ভব সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো ।