কেন এই মৃত সাগরে কোনো কিছু ডোবে না ?
মৃত সাগর একটি হাইপারস্যালাইন হ্রদ। এর পানির ঘনত্ব ১.২৪০ কেজি/লিটার। অ্যান্টার্কটিকার বাইরে জিবুতির আসাল হ্রদের পর এটি বিশ্ব দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লোনা পানির প্রাকৃতিক আধার। হ্রদটির পূর্বে জর্ডান এবং পশ্চিমে ফিলিস্থিন ও ইসরায়েলের সীমান্ত রয়েছে। সমুদ্র সমতল থেকে ৪২৭ মিটার (১,৪০১ ফুট) নিচে অবস্থিত পৃথিবীর সর্বনিম্ন স্থান এটি। ৩০৬ মিটার গভীর এ হ্রদটি পৃথিবীর গভীরতম লবণাক্ত হ্রদ বটে। মৃত সাগরের পানির লবণাক্ততার পরিমাণ ৩৪.২ শতাংশ এবং এটি সমুদ্রের পানির চেয়ে ৯.৬ গুন বেশি লবণাক্ত। অত্যাধিক লবণাক্ততার কারণে এখানে কোনো প্রাণী বেঁচে থাকতে পারে না। পানিতে লবণের অভিমাত্রার কারণে এখানে মানুষ ডুবে থাকতে পারে না। মৃত সাগরে কোনো মাছ এবং উদ্ভিত বেঁচে থাকতে পারে না বলেই এর নাম হয়েছে ‘মৃত সাগর’। কেবল সামান্য কিছু ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাক অণুজীবের সন্ধান পাওয়া যায় এ হ্রদে। মৃত সাগর অঞ্চলটি বর্তমানে চিকিৎসাশাস্ত্রের গবেষণাঞ্চল হয়ে উঠেছে। এর মূলে রয়েছে হ্রদের পানিতে খনিজ পদার্থের বিপুল উপস্থিতি। চর্মরোগ সোরিয়াসিস নিরাময়ে মৃত সাগরের লবণ বেশ উপকারী। অনেকে বিশ্বাস করেন, মৃত সাগরের কাদা নানা ধরনের রোগ নিরাময়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
পোস্টটি লিখেছেন
আমি জয়। আমি এই ব্লগের এডমিন। ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের স্থাপত্য বিভাগের একজন ছাত্র। আমি খুলনা থেকে ঢাকায় পড়তে এসেছি। আমি ব্লগ লিখি এবং আমি একজন ইউটিউবার। এর পাশাপাশি আমি গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ করি। ঘুরে বেড়ানো এবং সিনেমা দেখা আমি খুব পছন্দ করি।
Follow her @ Twitter | Facebook | YouTube
No comments
পোস্টটি কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন । আপনাদের কোন সমস্যাও কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যতটুকু সম্ভব সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো ।