মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে বিস্ময়কর কিছু তথ্য !

মঙ্গল থেকে দূরত্ব অনুযায়ী সৌরজগতের চতুর্থতম এবং দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম গ্রহ। পৃথিবী থেকে অনেকটা লাল দেখানোর কারণে এর অপর নাম হচ্ছে ‘লাল গ্রহ’। মঙ্গল সৌরজগতের শেষ অন্তর্বর্তী গ্রহ। পৃথিবীর পরেই এর অবস্থান। ফলে রাতের আকাশে অন্নতম উজ্জ্বল বস্তু মঙ্গলকে দেখা যায়। এই গ্রহটির সাথেই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মিল রয়েছে। এ কারণেই বিজ্ঞানীদের ধারণা, ভবিষ্যতে পৃথিবীর বাইরে মঙ্গলই হতে পারে মানুষের আবাসস্থল।
ইতিহাসঃ
বিজ্ঞানীদের ধারণা, আজ থেকে প্রায় ১০০ কোটি বছর আগে মঙ্গল ভিন্ন একটি গ্রহ ছিল। তখন মঙ্গলে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ছিল। এছাড়া ছিল ঘন বায়ুমণ্ডল এবং প্রবহমান জলরাশি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ঘটনাচক্রে পানি শুকিয়ে যায় এবং আগ্নেয়গিরিগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।
উপগ্রহঃ
মঙ্গল গ্রহের দুটি প্রাকৃতিক উপগ্রহ রয়েছে। এগুলো হলো- ফোবোস এবং ডেইমস। এ দুটি উপগ্রহ আবিষ্কার হয় ১৮৭৭ সালে।
মঙ্গল সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্যঃ
· মঙ্গল গ্রহে স্থায়ী দুটি বরফ তুপি আছে।
· লৌহিত রঙের কারণে রোমান যুদ্ধের দেবতা মার্স-এর নামে গ্রহটির নামকরণ করা হয়েছে মার্স।
· মঙ্গলের আকাশে ঘন মেঘ জমে থাকায় আকাশের রঙ গোলাপি দেখায়।
· মঙ্গলের দক্ষিণ মেরুতে যে পরিমান বরফ আছে, তা গলিয়ে দিলে সমগ্র গ্রহটি পানিতে ডুবে যাবে এবং এই পানির গভীরতা হবে প্রায় ৩৬ ফুট।
· মঙ্গলের কেন্দ্রীয় অংশটির ব্যাসার্ধ প্রায় ১,৭৯৪ কিলোমিটার। এর কেন্দ্র ভাগ মূলত লোহা ও নিকেল দ্বারা গঠিত, অবশ্য এর সাথে ১৬-১৭ অংশ সালফার রয়েছে।
· মঙ্গলের মেরু অঞ্চলে বাতাশের গতি ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার।
· মঙ্গলের আগ্নেওগিরি অলিম্পাস মনস আয়তনে প্রায় আমেরিকার আর্জেন্টিনা রাজ্যের সমান।
· ১৯৭৭ সালে ‘মাস পাথফাইন্ডার’ নামক অনুসন্ধান নভোযান মঙ্গল গ্রহে অবতরণ করে।
পোস্টটি লিখেছেন
আমি জয়। আমি এই ব্লগের এডমিন। ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের স্থাপত্য বিভাগের একজন ছাত্র। আমি খুলনা থেকে ঢাকায় পড়তে এসেছি। আমি ব্লগ লিখি এবং আমি একজন ইউটিউবার। এর পাশাপাশি আমি গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ করি। ঘুরে বেড়ানো এবং সিনেমা দেখা আমি খুব পছন্দ করি।
Follow her @ Twitter | Facebook | YouTube
No comments
পোস্টটি কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন । আপনাদের কোন সমস্যাও কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যতটুকু সম্ভব সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো ।