মামি তৈরির ইতিহাস!


প্রাচীন মিশরীয়রা বিশ্বাস করতো মৃত্যুর পর দেহকে অবিকৃত রাখতে পারলে স্বর্গে যাওয়া সহজতর হবে। এ বিশ্বাসের কারণেই তারা মৃতদেহের পচনশীলতা রোধ করে তা সংরক্ষন করতো। বৈজ্ঞানিক উপায়ে সংরক্ষিত এ মৃতদেহকেই বলা হয় মামি। মামি তৈরির সঠিক পদ্ধতি আয়ত্ত করতে তাদের প্রায় হাজার বছর সময় লেগেছিলো। মামি তৈরি করতে পুরোহিতদের প্রায় ৭০ দিন সময় লাগতো। মামি তৈরি করতে প্রথমে মৃতদেহের নাড়িভুড়ি, ফুসফুস, যকৃত, মগজ ইত্যাদি পচনশীল অঙ্গ বের করে আনা হতো। তবে হৃৎপিণ্ড দেহের মধ্যেই থাকতো। প্রত্যঙ্গগুলো বের করার পর দেহটিকে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে পরিষ্কার করে একটি ঢালু টেবিলের ওপর রাখা হতো। তারপর নেট্রন নামক এক ধরনের লবণ দেহের ভেতরে ও বাইরে ছিটিয়ে দেহ থেকে জলীয় পদার্থ শুষে নেয়ার ব্যবস্থা করা হতো। দেহটি শুকাতে প্রায় ৪০ দিন সময় লাগতো। শুকিয়ে যাওয়ার পর দেহটিকে ভালোভাবে মুছে প্রায় ১৫০ গজ লিলেন কাপড় দিয়ে মোড়ানো হতো এবং সে কাপড়টি এক ধরনের আঠা দিয়ে ভেজানো থাকতো।

নাইমুল ইসলাম

পোস্টটি লিখেছেন
আমি জয়। আমি এই ব্লগের এডমিন। ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের স্থাপত্য বিভাগের একজন ছাত্র। আমি খুলনা থেকে ঢাকায় পড়তে এসেছি। আমি ব্লগ লিখি এবং আমি একজন ইউটিউবার। এর পাশাপাশি আমি গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ করি। ঘুরে বেড়ানো এবং সিনেমা দেখা আমি খুব পছন্দ করি।
Follow her @ Twitter | Facebook | YouTube

No comments

পোস্টটি কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন । আপনাদের কোন সমস্যাও কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যতটুকু সম্ভব সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো ।

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.