ধূমকেতুর জন্ম কীভাবে হলো ?


মহাকাশে মাঝে মাঝে এক প্রকার জ্যোতিষ্কের আবির্ভাব ঘটে। এসব জ্যোতিষ্ক কিছুদিনের জন্য উদয় হয়, আবার অদৃশ্য হয়ে যায়। এগুলোকেই বলা হয় ধূমকেতু। ধূমকেতু হলো ধুলা, বরফ ও গ্যাসের তৈরি এক ধরনের মহাজাগতিক বস্তু। ক্ষুদ্র বরফাবৃত এ সৌরজাগতিক বস্তুটি সূর্যের খুব নিকট দিয়ে পরিভ্রমণ করার সময় দর্শনীয় কোমা (একটি পাতলা, ক্ষণস্থায়ী বায়ুমণ্ডল) এবং কখনো দীর্ঘ লেজও প্রদর্শন করে। ধূমকেতুর নিউক্লিয়াসের ওপর সূর্যের বিকিরণ ও সৌরবায়ুর প্রভাবের কারণে এমনটি ঘটে। ধূমকেতুর নিউক্লিয়াস বরফ, ধুলা ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাথুরে কণিকার একটি দুর্বল সংকলনে গঠিত।

ধূমকেতুর জন্মঃ ধারণা করা হয়, স্বল্পকালীন ধূমকেতুর জন্ম বামন গ্রহগুলো থেকে এবং কুইপার বেল্ট ও নেপচুনের কক্ষপথের বাইরের এলাকায় যে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন বস্তুর চাকতির মতো এলাকা আছে সেখান থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক একক দূরত্বে। দীর্ঘকালীন ধূমকেতুর জন্ম ওরট মেঘ থেকে, যা সৌরজগতের সবচেয়ে দূরের এলাকা এবং এখানে বরফপিন্ডের মতো অনেক বস্তু গোলাকার কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান বলে মনে করা হয়। কুইপার বেল্টে বড় গ্রহগুলোর মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে বা ওরট মেঘে নিকটবর্তী কোনো নক্ষত্রের প্রভাবে কোনো বস্তু উপবৃত্তাকার কক্ষপথে সূর্যের দিকে এলে নতুন ধূমকেতুর জন্ম হবে। কিন্তু ধূমকেতু জন্মের এই প্রক্রিয়া হিসেব করে বের করা সম্ভব হয়নি।

নাইমুল ইসলাম

পোস্টটি লিখেছেন
আমি জয়। আমি এই ব্লগের এডমিন। ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের স্থাপত্য বিভাগের একজন ছাত্র। আমি খুলনা থেকে ঢাকায় পড়তে এসেছি। আমি ব্লগ লিখি এবং আমি একজন ইউটিউবার। এর পাশাপাশি আমি গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ করি। ঘুরে বেড়ানো এবং সিনেমা দেখা আমি খুব পছন্দ করি।
Follow her @ Twitter | Facebook | YouTube

No comments

পোস্টটি কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন । আপনাদের কোন সমস্যাও কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যতটুকু সম্ভব সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো ।

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.