কীভাবে ছায়াপথ নামকরণ করা হয়েছে?


ছায়াপথ হলো মহাকর্ষীয় শক্তি দ্বারা অতি বৃহৎ সুশৃংখল একটি দল, যা অসংখ্য নক্ষত্র, আন্তঃনাক্ষত্রিক গ্যাস, ধুলিকণা, প্লাসমা এবং প্রচুর পরিমাণ অদৃশ্য বস্তু দ্বারা গঠিত। একটি আদর্শ ছায়াপথে ১০০ মিলিয়ন থেকে ১২৫ বিলিয়ন পর্যন্ত নক্ষত্র থাকে, যার সবগুলোই একটি মহাকর্ষীয় কেন্দ্রের চারদিকে ঘূর্ণায়মান। বিচ্ছিন্ন নক্ষত্র ছাড়াও ছায়াপথে বহুনাক্ষত্রিক ব্যবস্থা, নক্ষত্র স্তবক এবং বিভিন্ন ধরনের নীহারিকা থাকে। অধিকাংশ ছায়াপথের ব্যাস কয়েকশ আলোকবর্ষ থেকে শুরু করে কয়েক হাজার আলোকবর্ষ পর্যন্ত হয়।
ছায়াপথের ইংরেজি Galaxy শব্দটি গ্রীক শব্দ Galaxias থেকে এসেছে।আমাদের সৌরজগত যে ছায়াপথে অবস্থিত তাঁর গ্রীক নাম দেয়া হয়েছিলো Galaxias যার অর্থ ‘দুধালো বৃত্তপথ’ বা Milky Circle।পরবর্তীকালে এই নামটিকেই ছায়াপথের সাধারণ নামকরণ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।আগে বেশ কিছু মহাজাগতিক বস্তুকে কুণ্ডলিত নীহারিকা নামে অভিহিত করা হত।কিন্তু জ্যাতিরবিজ্ঞানিরা দেশেন যে, সেগুলো প্রকৃত পক্ষে প্রচুর নক্ষত্রের সমন্বয়ে গঠিত।কিন্তু পরবর্তীকালে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন যে,এই নামকরণ ভুল হয়েছে।কারণ প্রকৃত মহাবিশ্ব এর অন্তর্ভুক্ত সকল বস্তুরই মষ্টিক নাম। তাই এর নাম থেকে এ ধরনের নক্ষত্রের সমষ্টিকে সাধারণভাবে গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ নামে অভিহিত করা হতে থাকে।
আমাদের মহাবিশ্বে সাধারণত ৪ ধরনের ছায়াপথ দেখা যায়-
১. সর্পিলাকার ছায়াপথ, ২. সরুরেখার সর্পিলাকার ছায়াপথ, ৩. ডিম্বাকার ছায়াপথ, ৪. অনিয়মিত ছায়াপথ। এছাড়াও রয়েছে মসুরাকার ছায়াপথ, কালো চোখ ছায়াপথ, চুরুট ছায়াপথ, গরুর গাড়ির চাকা ছায়াপথ ইত্যাদি।

নাইমুল ইসলাম

পোস্টটি লিখেছেন
আমি জয়। আমি এই ব্লগের এডমিন। ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের স্থাপত্য বিভাগের একজন ছাত্র। আমি খুলনা থেকে ঢাকায় পড়তে এসেছি। আমি ব্লগ লিখি এবং আমি একজন ইউটিউবার। এর পাশাপাশি আমি গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ করি। ঘুরে বেড়ানো এবং সিনেমা দেখা আমি খুব পছন্দ করি।
Follow her @ Twitter | Facebook | YouTube

No comments

পোস্টটি কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন । আপনাদের কোন সমস্যাও কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যতটুকু সম্ভব সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো ।

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.