রহস্যময় বারমুডা ট্রায়াংগলের ইতিহাস !
আটলান্টিক মহাসাগরে ফ্লোরিডার উপকূলে একটি ত্রিভুজ এলাকা হলো বারমুডা ট্রায়াংগল। এর তিনটি বাহু হলো মিয়ামি, বারমুডা এবং পুয়ের্তোরিকোর স্যান জুয়ান। বারমুডা ট্রায়াংগল নিয়ে রহস্যের অন্ত নেই। অনেকের ধারণা ওই এলাকা দিয়ে জাহাজ ও বিমান যাওয়ার সময় রহস্যজনক ভাবে অনেক জাহাজ ও বিমান হটাৎ অদৃশ্য হয়ে যায়। তাই সাগরের এই অঞ্চলটিকে অনেকে ‘শয়তানের সমুদ্র’ বলে। চার্লস বেরলিতজ ২৪,০০,০০০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই বারমুডা ট্রায়াংগলের উপর একটি বই লেখেন। বইটি প্রকাশিত হাওয়ার পর এই রহস্যময় ট্রায়াংগলটি নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে একটি আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। লেখক তার বইতে উল্লেখ করেছেন ১৯৪৫ সালের আগ পর্যন্ত বারমুডা ট্রায়াংগল এলাকায় ৫০টি জাহাজ এবং ২৮টি বিমান নিখোঁজ হয়েছে। ১৯৪৫ সালের পর নিখোঁজ হয়েছে প্রায় ৮০টি জাহাজ। রহস্যটা এখানে যে, নিখোঁজ হওয়া জাহাজ বা নিমানের কোনো ধ্বংসাবশেষও পরবর্তীতে কোথাও খুজে পাওয়া যায়নি। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনা হলো ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বরে। সে সময় এখানে আমেরিকান নৌবাহিনীর একটি ট্রেইনিং মিশনের ৫টি বোমারু বিমান নিখোঁজ হয়। সাধারণ মানুষের ধারণা ছিলো ওখানে এক শয়তানের রাজত্ব বিদ্যমান, আর ওই শয়তানেরই কারসাজি ওগুলো। কিন্তু পরবর্তীকালে অনেক তথ্য প্রমাণের ফলে মানুষের এ ভুল ভাঙতে থাকে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, বারমুডা ট্রায়াংগল এলাকায় যেখানে গড়ে বছরে প্রায় ১,৫০,০০০টি জাহাজ চলাচল করে সেখানে দুর্ঘটনার পরিমাণ নিতান্তই কম।
পোস্টটি লিখেছেন
আমি জয়। আমি এই ব্লগের এডমিন। ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের স্থাপত্য বিভাগের একজন ছাত্র। আমি খুলনা থেকে ঢাকায় পড়তে এসেছি। আমি ব্লগ লিখি এবং আমি একজন ইউটিউবার। এর পাশাপাশি আমি গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ করি। ঘুরে বেড়ানো এবং সিনেমা দেখা আমি খুব পছন্দ করি।
Follow her @ Twitter | Facebook | YouTube
No comments
পোস্টটি কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন । আপনাদের কোন সমস্যাও কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যতটুকু সম্ভব সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো ।