ব্যাবিলন শুন্যোউদ্যানের ইতিহাস !
প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করেছে।এর মধ্যে বিখ্যাত সাতটি স্থাপনাকে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়।এই সাতটি স্থাপনার মধ্যে ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্দান বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।চলুন এই বিশেষ উদ্যানটি সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই।
প্রাচীন সপ্তাশ্চর্যর মধ্যে ব্যাবিলনের শুন্যউদ্যানই একমাত্র স্থাপনা,যেটি ঠিক কোথায় নির্মাণ করা হয়েছিলো তা সঠিক করে বলা যায় না।ধারণা করা হয়,ব্যাবিলনের অন্যতম শাসক নেবুচাদনেজার ৬০৫ থেকে ৫৬২ খ্রিষ্টাব্দে প্রাচীন ব্যাবিলন শহরে তাঁর স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ এই বিস্ময়কর উদ্যানটি নির্মাণ করেছিলেন।ঝুলন্ত এ উদ্যানটি রঙিন সব ইট দিয়ে একটির একটি সমতল ছাদের সাহায্যে তৈরি করা হয়েছিলো।ছাদ গুলোর উচ্চতা ছিল ৮০ ফুট।উদ্যান পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত ছিলো ১০৫০ জন মালি।প্রায় ৬০০০ প্রজাতির ফুলগাছ ছিলো এ উদ্যানটিতে।উদ্যানটি ইউফ্রেটিস নদী থেকে পানি উঠানো হতো মোটা প্যাঁচানো নলের সাহায্যে।খ্রিস্টপূর্ব ৫১৪ অব্দে পার্শ্ববর্তী পারস্য রাজ্যের সাথে ভয়াভহ যুদ্ধে এই দৃষ্টিনন্দন উদ্যানটি ধ্বংস হয়ে যায়।
পোস্টটি লিখেছেন
আমি জয়। আমি এই ব্লগের এডমিন। ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের স্থাপত্য বিভাগের একজন ছাত্র। আমি খুলনা থেকে ঢাকায় পড়তে এসেছি। আমি ব্লগ লিখি এবং আমি একজন ইউটিউবার। এর পাশাপাশি আমি গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ করি। ঘুরে বেড়ানো এবং সিনেমা দেখা আমি খুব পছন্দ করি।
Follow her @ Twitter | Facebook | YouTube
No comments
পোস্টটি কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন । আপনাদের কোন সমস্যাও কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যতটুকু সম্ভব সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো ।