তেজপাতার যত পুষ্টিগুন!

তেজপাতায় থাকে ভিটামিন,মিনারেল এবং বিভিন্ন উদ্ভিজ উপাদান আছে যা ব্যাকটেরিয়া নিধন করা,জ্বালাপোড়া কমানো সহ আরও অনেক উপকার করে।
আসুন তেজপাতার স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে জেনে নেই।
১.খাবারের পুষ্টি উপাদানগুলো ভালোভাবে পরিপাক করতে সহায়তা করে।পেটফাঁপা,বদহজম,বুক জ্বালাপোড়া ইত্যাদির চিকিৎসায় তেজপাতা ব্যাবহার করা হয়।
২.তেজপাতার অ্যানটিমাইক্রোবায়াল উপাদান শ্বাসযন্ত্র বিভিন্ন প্রদাহ কমাতে সহায়ক ।
৩.সর্দিকাশি কফ এবং ফ্লু থেকে মুক্তি পেতে তেজপাতা সিদ্ধ করে খেতে কিংবা বুকে মাখা যেতে পারে।
৪. শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা বা ফুলে যাওয়া উপশম করতে তেজপাতার এসেনসিয়াল অয়েল বেশ উপকারি ।মাথাব্যাথা বা মাইগ্রেইনের ব্যাথা সারাতেও এই তেল ব্যাবহার করা যায়।
৫.কিডনির বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ রুখতে তেজপাতা পানিতে সিদ্ধ করে খেলে উপকার মিলবে।যাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা আছে তাদের জন্যও এটি বেশ উপকারি।
৬.তেজপাতার মাধ্যমে ঝালভাব আনা স্বাস্থ্যকর রান্নার পদগুলো খাওয়ার মাধ্যমে কমতে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি।কারণ তেজপাতায় থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান স্বাস্থ্য এবং হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৭.তেজপাতার উদ্ভিজ্জ উপাদান ত্বকে বলিরেখা সৃষ্টির জন্য দায়ি ‘ফ্রি জীবাণু ডিকেল’ নিস্ক্রিয় করে।
৮.বিলাসবহুল এবং সুগন্ধিযুক্ত গোসলের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করার প্রয়োজন নেই।বরং এক টুকরা পরিস্কার কাপড়ে গুড়া তেজপাতা কুসুম গরম পানিতে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রেখে,এই পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন।
৯.তেজপাতা সিদ্ধ করুন।ঠাণ্ডা হলে তা দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।ত্বক ফর্সা করার পাশাপাশি এই মিশ্রণ ব্রন শুকাতেও সহাওক।উজ্জল দাঁত পেতে সাপ্তাহে কয়েকবার দাঁতে তেজপাতা ঘসা যেতে পারে।
১০.তেজপাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে চুল ধুলে খুশকি কমে।
পোস্টটি লিখেছেন
আমি জয়। আমি এই ব্লগের এডমিন। ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের স্থাপত্য বিভাগের একজন ছাত্র। আমি খুলনা থেকে ঢাকায় পড়তে এসেছি। আমি ব্লগ লিখি এবং আমি একজন ইউটিউবার। এর পাশাপাশি আমি গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ করি। ঘুরে বেড়ানো এবং সিনেমা দেখা আমি খুব পছন্দ করি।
Follow her @ Twitter | Facebook | YouTube
No comments
পোস্টটি কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন । আপনাদের কোন সমস্যাও কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যতটুকু সম্ভব সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো ।